এঘটনায় গত ১০ অক্টোবর ২০২৫ ইং তারিখে মিটু চৌধুরীর স্ত্রী রুবি বেগম নামের গৃহবধূ বাদী হয়ে
হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমল আদালত কগ-৫ আদালতে মামলা দায়ের করেছেন৷ মামলাটি বিজ্ঞ আদালত আমলে নিয়ে নবীগঞ্জ থানা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেছেন বলে বাদী পক্ষ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন৷
মামলার এজাহারে উল্লেখঃ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের রাইয়াপুর গ্রামের মিটু চৌধুরী তিনি সম্প্রতি বাংলাবাজারের উল্লেখিত স্থানে জায়গা ক্রয় করে একটি বাসাবাড়ী নির্মাণ করে স্বপরিবারে বসবাস করে আসছিলেন৷ তবে তার প্রতিবেশী দুষ্কৃতিকারী সন্ত্রাসী ও খারাপ প্রকৃতির লোক ইনাতাবাদ গ্রামের ও বর্তমান বাংলা বাজারের বাসিন্দা ইউনুছ খাঁ নামের ব্যক্তি মিটু চৌধুরী ও তার পরিবারের নিকট ১ লক্ষ টাকা চাঁদাদাবী করেন৷ এই দাবীকৃত টাকা না দেওয়ায় ঘটনার সময় ইউনুছ খাঁ, গভীর রাতে তার সঙ্গীয় ১০/১২ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি সহ ৩ জন অস্ত্রধারী নারীও ঘটনার সাথে জড়িত ছিলেন,যাদের ভিডিও ফুটেজ ও সংরক্ষণে আছে, এর মধ্যে আয়েশা আক্তার তান্নি, রাবিয়া বেগম ও সুনায়রা বেগম৷
মামলার বাদীনি তিনি আরো উল্লেখ করেন, তাদের গৃহে প্রবেশ করে অস্ত্রধারীরা তার স্বামী বাড়ীতে না থাকায় নগদ ২ লক্ষ টাকা, ২ ভরি ওজনের গলার হার, ১ ভরি ওজনের হাতের রুলি যার অনুমান মূল্য প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষাধিক টাকা এবং ঘরের দরজা ভাঙ্গিয়া আরো ১০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে৷ এসময় লুটপাট করে দুষ্কৃতকারীরা যাবার সময় তাঁদেরকে হুমকি দিয়ে চলে যায়,এবং এনিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে খুন করিয়া লাশ গুম করে ফেলার হুমকিও দিয়ে যায় বলে নির্যাতিত পরিবারের লোকজন গণমাধ্যমকে জানান৷ এদিকে এই মামলার সংবাদে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এই প্রভাবশালী চক্র৷ বাদীনি ও তার পরিবারের তাদের ভয়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে উল্টো পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলেও জানান তাহারা৷ এ বিষয়ে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন৷
