ঢাকা

নবীগঞ্জে মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা করলেন পিতা

কুশিয়ারা বার্তা

প্রকাশিতঃ

Shares


আকিকুর রহমান রুমন | বানিয়াচং থেকে : হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে নিজ পিতা দ্ধারাতে হত্যার স্বীকার হলো মেয়ে। এই ঘটনায় পুরো জেলাজুড়ে শুরু হয়েছে আলোচনা সমালোচনা।

নবীগঞ্জ উপজেলার কুড়িশাইল গ্রামের সরকারী আশ্রয়ন প্রকল্পে দুই সন্তানের জননী পুর্ণিমা রানী দাস(২৫)নামে নিজের মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা করেন এক পাষণ্ড পিতা।

ঘটনাটি ঘটেছে ২৭ অক্টোবর(সোমবার) দুপুরের দিকে তাদের নিজ বসত ঘরে।


খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘাতক পিতা মতিলাল দাস(৬২)কে আটক করে পড়ে থাকা পুর্ণিমার নিথরদেহ উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার পূর্নিমার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।


পিতার হাতে দু’সন্তানের জননী নিজের মেয়েকে হত্যাকান্ডের ঘটনায় এলাকায় মুখরোচক আলোচনা শুরু হয়েছে।


স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের কুড়িশাইল গ্রামের মতিলাল দাসের মেয়ে পুর্ণিমা রানী দাসকে বিয়ে দেয়া হয় একই উপজেলার মান্দারকান্দি গ্রামে।

তাদের সংসারে রয়েছে ফুটফুটে দু’টি সন্তন।


স্বামীর সংসারে প্রায়ই স্বামীর সাথে ঝগড়া করে পিত্রালয়ে চলে আসতো পুর্ণিমা রানী দাস।


সম্প্রতি স্বামীর বাড়ি থেকে ঝগড়া করে বেশ কিছু দিন ধরে পুর্ণিমা তার পিত্রালয়ে বসবাস করে আসছিলো।


স্বামীর বাড়িতে না যাওয়া মেয়েটির অসংলগ্ন চলাফেরা লক্ষ্য করেন মতিলাল দাস।

মেয়ের এমন চলাচলে পিতার সন্দেহের সৃষ্ট হয়।

তখন পিতা হিসেবে মতিলাল দাস মেয়েকে ভিন্ন পথে চলতে বারণও করেন।


কিন্তু পিতার কথায় কোন প্রকার গুরুত্ব না দিয়ে পূর্নিমা তার সন্তানদের ফেলে পরকীয়া প্রেমিক বানিয়াচং উপজেলার সেকান্দরপুর গ্রামের জনৈক যুবকের সাথে পালিয়ে যায়।


এই ঘটনাটি পিতার জন্য খুবই লজ্জার ও মানহানিকর হওয়ায়,মতিলাল দাস স্থানীয় মুরব্বিয়ানদের মাধ্যমে ২৬ অক্টোবর (রবিবার)পূর্নিমাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন।


২৭ অক্টোবর(সোমবার) দুপুরে নিজ ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় মেয়ে পূর্নিমা দাসকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন পাষন্ড পিতা মতিলাল দাস।


এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পুর্ণিমা রানী দাসের নিথর দেহ উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন।

সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার পূর্ণিমা দাসকে মৃত ঘোষনা করেন।


এই ঘটনায় পুলিশ পাষন্ড পিতা মতিলাল দাসকে তাৎক্ষণিক আটক করতে সক্ষম হন এবং তাকে থানায় নিয়ে যান।


এই ঘটনা সম্পর্কে স্থানীয়দের বেশ কয়েকজন আমাদেরকে জানান,মেয়েটি পরকীয়ায় আসক্ত ছিলো যার কারণে বার,বার স্বামীর সাথে ঝগড়া বিবাদ করে পিত্রালয়ে চলে আসতো।


এবং এখান থেকে তার স্বাধীন মতে পরকীয়া প্রেমিকের সবকিছু করতে পারতো এবং পূর্নিমার জন্য অনেক সুযোগ সুবিধা ছিলো।


তাই উনারা মনে করেন ঘটনাটি নিবিড় ভাবে তদন্ত করলে এবং পুর্ণিমা রানী দাসের মোবাইল ফোনের কল লিস্ট চেক করলেই এই হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটিত হবে বলে মনে করেন তারা।


তাই প্রশাসনের প্রতি তাদের জোড়ালো অনুরোধ এই হত্যাকান্ডের বিষয়টি যেন গুরুত্ব সহকারে দেখা হয় এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়।।


এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)শেখ কামরুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং এই হত্যাকান্ডের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,খুনের দায়ে মেয়ের বাবাকে আটক করা হয়েছে।

এছাড়াও এই হত্যাকান্ডের বিষয়ে আমাদের তদন্ত চলমান রয়েছে।

Tags: