ঢাকা

হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে জামাত নেতা হত্যা মামলায় ১২বছর পর আ'লীগ নেতার আমৃত্যু কারাদণ্ড সহ ১৩জনের যাবজ্জীবন

কুশিয়ারা বার্তা

প্রকাশিতঃ

Shares

আকিকুর রহমান রুমন | বানিয়াচং থেকে : হবিগঞ্জের আলোচিত জামায়াত নেতা মহিবুর রহমান চৌধুরীর হত্যা মামলার ১২বছর পর আ'লীগ এক নেতার আমৃত্যু ও ১৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদাণ করেছেন আদালত।

হবিগঞ্জ পৌর জামায়াত নেতা ও ব্যবসায়ী মহিবুর রহমান চৌধুরী  হত্যা মামলায় আ'লীগ নেতা শফিকুল আলম চৌধুরীর আমৃত্যু কারাদণ্ড ও মামলার ১৩ আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

এছাড়াও মামলার ২ আসামীকে খালাস দেওয়া হয়েছে। এবং মামলা চলাকালীন সময়ে ৩জন আসামী মৃত্যু বরণ করায় তাদেরকে মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে৷

১৪অক্টোবর (মঙ্গলবার) দুপুরে হবিগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক সৈয়দ মো:কায়সার মোশাররফ ইউসুফ এই রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে মামলার প্রধান আসামি আ'লীগ নেতা সাবেক বিআরডিবি চেয়ারম্যান শফিকুল আলম চৌধুরীকে আমৃত্যু কারাদণ্ড প্রদাণ করা হয়েছে। এছাড়াও মামলার ১৩ জন আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। রায় ঘোষনার সময় সাজাপ্রাপ্ত ১০জন আসামী আদালতে উপস্থিত থাকলেও অন্যান্য আসামীরা পলাতক ছিলো৷

মামলার এজাহার সূত্রে জানাযায়,হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার ৬নং কাগাপাশা ইউনিয়নের মকা গ্রামের শফিকুল আলম চৌধুরীর সঙ্গে তার চাচাতো ছোট্র ভাই ও হবিগঞ্জ পৌর জামায়াতের ৬নং ওয়ার্ড সভাপতি ব্যবসায়ী মহিবুর রহমান চৌধুরীর মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিলো।

এরই জের ধরে ২০১৩ সালের ১৭ জুন সন্ধ্যায় হবিগঞ্জ শহরের পুরান মুন্সেফী এলাকায় জামাত নেতা মহিবুর রহমান চৌধুরীর উপর পরিকল্পিত হামলা চালায় শফিকুল চৌধুরী ও তার লোকজন।

হামলায় মহিবুর চৌধুরীকে কুপিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করে হত্যা করেন দুর্বৃত্তরা।

এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মুজিবুর রহমান চৌধুরী বাদী হয়ে শফিকুল আলম চৌধরীকে প্রধান আসামি করে ২৩ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

২০১৫ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ২৩ জন আসামির বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত কমকর্তা আদালতে ফাইনাল চার্জশিট দাখিল করেন৷ ২০১৭ সালের ১০ আগস্ট ১৯ জন আসামির বিরুদ্ধে  মামলার বিচারকাজ শুরু হয়। মামলায় রাষ্ট্র পক্ষ  আদালতে মোট ২১ জনের স্বাক্ষী উপস্থাপন করেন৷ দীর্ঘ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ১২বছর পর আদালত আজ রায় ঘোষণা করেন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত ১৩ জন আসামিরা হলো,সেবুল মিয়া, মুকসুূদ মিয়া,জাহাঙ্গীর মিয়া,শহিদুল আলম চৌধুরী আকিক,মুকিব মিয়া,সায়েদ মিয়া, আলমগীর মিয়া,তারা মিয়া,আব্দুল কাইয়ুম, রুবেল,নাহিদ,শামিম ও রতিশ মিয়া৷

রায়ে বুলবুল মিয়া ও জুয়েল মিয়া নামের ২জনকে মামলা থেকে খালাস প্রদান করা হয়৷ এছাড়াও মামলা চলাকালীন সময়ে আসামি আকবর হোসেন,আব্দুল কাইয়ুম ও শাহজাহান মিয়া মৃত্যু বরণ করায় বিঞ্জ আদালত মামলা থেকে তাদেরকে অব্যাহতি প্রদান করেন৷ রাষ্ট্রপক্ষের আইনজিবী ছিলেন এডিশনাল পিপি অ্যাডভোকেট গুলজার খান৷

আসামি পক্ষের আইনজিবী ছিলেন চৌধুরী আশরাফুল বারী নোমান৷ রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট গুলজার খান জানান,রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। এই রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

Tags: