ঢাকা

হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘন্টাব্যাপী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে মোটরসাইকেল ভাংচুর সহ আহত ২০জন

কুশিয়ারা বার্তা

প্রকাশিতঃ

Shares

আকিকুর রহমান রুমন, বানিয়াচং থেকে | হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু'পক্ষের ঘন্টাব্যাপী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে মোটরসাইকেল ভাংচুর সহ উভয় পক্ষের নারী-পুরুষ সহ অন্তত ২০জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে বানিয়াচং থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।

জানাযায়, বানিয়াচং উপজেলা সদরের ৪নং দক্ষিণ পশ্চিম ইউনিয়নে ২৬ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) সকাল আনুমানিক ১১টার দিকে তারাসই গ্রামের বাসিন্দা কুদরত মিয়ার ছেলে যাত্রাপাশা মহল্লার বাসিন্দা সামছুদ্দিন মিয়ার ভাতিজা সলিম মিয়ার ঝোপ থেকে অনুমতি না নিয়ে মাদ্রাসার হুজুরের কথা অনুযায়ী ১টি বেত কেটে নিয়ে যায়। এই ঘটনার সূত্র ধরে সলিম মিয়ার ছেলে হাসান মিয়া কুদরত মিয়ার ছেলের বিষয়টি কুদরত মিয়াকে জানালে, কুদরত মিয়া বলেন গায়ের জোর খাটিয়ে তার ছেলেকে মারপিট করার উল্টো অভিযোগ তুলে ক্ষিপ্ত হয়ে কুদরত মিয়ার ছেলে ও তার সাথে থাকা কয়েকজন মিলে তাদের সাথে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

পরে তারাসই গ্রামের কুদরত মিয়ার লোকজন  দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র  টেঁটা,ফিকল,বল্লম,দা,রামদা সহ সু সজ্জিত হয়ে যাত্রাপাশার দিকে আসার খবরটি মুহূর্তের মধ্যে জেনে গেলে তারা প্রতিরোধ করতে অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে কুন্ডুর পাড় পয়েন্টে গিয়ে অবস্থান নেন।

তারপর সেখানেই উভয়পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে।

সংঘর্ষের খবর পেয়ে বানিয়াচং উপজেলা সদরের ৪নং দক্ষিণ পশ্চিম ইউনিয়নের যাত্রাপাশা মহল্লার উপজেলা জাতিপার্টি নেতা ও ৪নং দক্ষিণ পশ্চিম ইউনিয়নের পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ মোয়াজ্জেম মিয়া ও তার সাথে কিছু লোকজন নিয়ে সংঘর্ষ স্থলে গিয়ে ফেরানোর চেষ্টা চালান।

এসময় তারাসই গ্রামের লোকজন তার মোটরসাইকেলটি ভাংচুর করেন।

এই খবরটি তার লোকজনের মধ্যে জানাজানি হয়ে পড়লে তখন পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করে।

ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের নারী পুরুষ সহ অন্তত ২০জন আহত হয়েছেন।

তারাসই গ্রামের আহত অন্তত ১০জনের মধ্যে কেউই বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য আসেন নাই।

তারা আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সহ অন্যান্য স্হানে চিকিৎসা নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন গ্রামবাসী। খবর পেয়ে  বানিয়াচং থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে আনেন।

তবে এই ঘটনার পর থেকে তারাসই গ্রামের আহত হওয়া লোকজন ও সাধারণ বাসিন্দাগন স্হানীয় (নতুনবাজার) ও বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভয়ে আসতে পারেননি বলে জানিয়েছিলেন গ্রামবাসী।

তারা এই সংঘর্ষের ঘটনার পর থেকে আতংকে রয়েছেন। তবে উভয় পক্ষের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে।

যেকোনো সময় পুনঃরায় উভয়পক্ষের মধ্যে  সংঘর্ষ হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে বলে ধারণা এলাকাবাসীর।

এ ব্যাপারে সেনাবাহিনীর একটি দল তারাসই গ্রামে গিয়ে সংঘর্ষের মূল কারণ সহ ছেলের কথা অনুযায়ী উক্ত সেই হুজুরকে খবর দিয়ে আনা হলে মাদ্রাসার হুজুরের কথা অনুযায়ী বেত নিয়ে যাওয়ার সত্যতা পাওয়া যায়নি।

সেনাবাহিনীর একটি দল পুনঃরায় সংঘর্ষে যেন না জড়ান এবিষয়ে গ্রামবাসীকে সতর্ক করে এলাকায় টহল দিয়ে যাচ্ছিলেন বলে সূত্র নিশ্চিত করেন।

এই ঘটনায় কেউ আটক কিংবা থানায় কোন লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে কিনা জানতে,বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)

মিজানুর রহমান এর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার কাছ থেকে কোন সাড়া পাওয়া যায় নাই।

Tags: