আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘না’ ভোটের বিধান পুনরায় চালু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মোহাম্মদ সানাউল্লাহ। তিনি সোমবার (১১ আগস্ট) সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনের সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
ইসি সানাউল্লাহ জানান, আসন্ন নির্বাচনকে স্বচ্ছ ও ন্যায়সঙ্গত করতে নির্বাচন কমিশন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধন করে ‘না’ ভোটের বিধান পুনর্বহাল করেছে। এর ফলে কোনো আসনে যদি একক প্রার্থী থাকেন, তাঁকে ‘না’ ভোটের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। ‘না’ ভোট বেশি হলে ওই আসনের পুরো ভোটবাতিল হবে এবং পুনরায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি আরও জানান, এবার ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার হবে না। এছাড়া ভোটে অনিয়ম ধরা পড়লে পুরো আসনের ভোট বাতিল করার ক্ষমতাও কমিশনের রয়েছে।
হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দেওয়ার শাস্তি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পরও পাঁচ বছর পর্যন্ত কমিশন সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে এবং প্রয়োজনে সদস্যপদ বাতিলও করতে পারবে।
এছাড়া, প্রার্থীরা ব্যক্তিগত বা প্রতিষ্ঠান থেকে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত অনুদান নিতে পারবে, তবে তা ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে করতে হবে। জোটবদ্ধভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে দলীয় প্রতীকে ভোট দিতে হবে।
নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা ৮৪টি নতুন দলের মধ্যে ২২টি দলকে ইতোমধ্যেই বিবেচনা করা হয়েছে। এগুলোর মাঠ পর্যায়ের যাচাই-বাছাই এখনও চলছে।
সানাউল্লাহ আরও জানান, বর্তমানে ৮৩টি সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণে কিছু আপত্তি রয়েছে, যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।
