মিজানুর রহমান মাসুদ | কুশিয়ারা বার্তা :

গতকাল সোমবার দুপুরে অপ্রাপ্ত বয়স্ক ওই শিক্ষার্থীকে উপজেলা সমাজসেবা অফিসে নিয়ে যায় পুুলিশ। কিন্তু ওই অফিস না রাখায় পুনঃরায় তাকে থানা হেফজতে রাখা হয়েছে। অপরদিকে তাকে নিয়ে যেতে ওই শিক্ষার্থীর অভিবাবকরাও কোন যোগাযোগ করেননি বলে অফিসার ইনচার্জ জানান।
প্রসঙ্গত, আজমিরীগঞ্জের জলসুখার শঙ্খমহল গ্রামের বাসিন্দা মো. মোহিত মিয়ার লম্পট পুত্র মাহফুজ মিয়া (২০) বিগত ২/৩ মাস পূর্ব থেকে একই গ্রামের মো, মখলিছ মিয়ার মেয়ে ও এলাকার জলসুখা কৃষ্ণগোবিন্দ পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে নিজ বসতবাড়ি, রাস্তাঘাট ও স্কুলে কোচিং এ আসা- যাওয়ার পথে প্রতিনিয়তই প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে বিরক্ত করে আসছিল। কিন্তু এতে রাজি না হওয়ায় ওই বখাটের উত্যক্ত করা দিনদিন বেড়েই চলছিল। এক পর্যায়ে অতীষ্ট হয়ে ওই শিক্ষার্থী বিষয়টি তার অভিবাবককে অবহিত করে। এদিকে শিক্ষার্থীর অভিবাবক মো. মখলিছ মিয়া বখাটে মাহফুজের পিতা মুহিত মিয়া (৪৮), মাতা মাফিয়া খাতুন (৩৮) সহ অভিবাবক ও স্বজন যথাক্রমে আলাউদ্দিন মিয়া (৬৫) আব্দুর রশিদ (৬০) ফয়সল মিয়া (২৫) কে অবহিত করে ও বিচারপ্রার্থী হয়। কিন্তু তারা এ বিষয়টি আমলে না নিয়ে শিক্ষার্থীর পিতার সহিত অশালীন আচরণ করে ও হুমকি ধমকি দেয়। এদিকে প্রতিদিনের মত গত বৃহস্পতিবার ওই শিক্ষার্থী স্কুলের পাশের কোচিং সেন্টার থেকে বাড়ি ফেরার পথে এলাকার আলাউদ্দিন মিয়ার বাড়ির সামনের রাস্তায় পৌঁছুলে বিকাল সাড়ে ৫ টায় পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা মো. শহিদ মিয়ার ইন্দনে ও সাইফুল ইসলামের সহযোগীতায় ওই শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক সিএনজিতে উঠিয়ে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায়। অপহরণের ঘটনাটি এলাকার মৃত আব্দুল হাসিমের স্ত্রী ফুলচান বিবি (৭০) দেখতে পায় ও আমাদেরকে অবহিত করে। এ ব্যাপারে ওই শিক্ষার্থীর মা মোছাঃ রাহেলা আক্তার বাদি হয়ে একই গ্রামের বাসিন্দা মো. মোহিত মিয়ার পুত্র মাহফুজ মিয়া (২০) কে প্রধান আসামী করে মোট ৮ জন আসামির নাম উল্লেখ করে প্রতিকার চেয়ে গত শুক্রবার আজমিরীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।