ঢাকা

আজমিরীগঞ্জে নি:সন্তান জমিদারের উত্তরসুরী নিয়ে বিবাদ

কুশিয়ারা বার্তা

প্রকাশিতঃ

Shares

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় নি:সন্তান জমিদারের  উত্তরসুরী নিয়ে বিবাদের সৃষ্টি হয়েছে। কালের বিবর্তনে এই জায়গার অনেকটাই বেদখল হয়ে গেছে। স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী কর্তা ব্যক্তিরা একটি জালিয়াত চক্রের সহযোগিতায় জমিদারের ভূয়া উত্তরাধিকারী সাজিয়ে হাত করছে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি। জমিদারদের অবর্তমানে প্রকৃত উত্তরাধারী বা উত্তরসূরী না থাকায় ভূয়া উত্তরাধিকারী সনদপত্র সৃজন করে বহু জায়গা জমির জালিয়াতির মাধ্যমে নামজারীসহ বহু জমি ক্রয়-বিক্রয় করছে এবং হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি টাকা। 


এমনই এক ভূয়া উত্তরসূরী  শাল্লা সহকারি কমিশনার (ভূমি) এর নিকট পাল্টাপাল্টি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যা পরে আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। পার্শবর্তী আজমিরীগঞ্জ উপজেলার তৎকালীন জমিদারদের শাল্লায় উপজেলায় অবস্থিত বহুজায়গা জমি স্থানীয় প্রভাবশালীরা ক্রয়-বিক্রয় করেছে। আর এসব জায়গা জমি ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে শাল্লার মানুষের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। দেখা দিয়েছে দুই পক্ষের মধ্যে হানাহানি ও মামলা মোকদ্দামা। যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ।  


আজমিরীগঞ্জ উপজেলার জলসুখা গ্রামের স্থানীয় বান্দিা ও জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, যে কোন সময় আবার ও ঘটতে পারে বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ।


আজমিরীগঞ্জ উপজেলার জলসুখায় তেরজন জমিদারের মধ্যে একজন ৩নং জলসুখা ইউনিয়ন ৪নং ওয়ার্ডের শঙ্খমহল গ্রামের বাসিন্দা জমিদার রণেন্দ্র কুমার রায় ওরফে নরেন্দ্র কুমার রায়। তার কোন সন্তানাদি না থাকায় তার মৃত্যুর পর সঠিক উত্তরসূরী  নিয়ে খো দেয় নানান জটিলতা। জমিদার রনেন্দ্র রায়ের উত্তরসূরী হিসেবে একাধিক মানুষ উত্তরাধিকার হিসাবে দাবি করে আসছেন। 


একই গ্রামের চন্দ্র প্রসাদ রায় ওরফে চন্ডি রায় নিজেকে উত্তরসূরী দাবী করে। 


এব্যাপারে বর্তমান জলসুকা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান ফয়েজ আহমেদ খেলু বলেন, চন্দ্র প্রসাদ ওরফে চন্দ্রি রায় রনেন্দ্র কুমার রায়ের আত্নীয় কিংবা উত্তরসুরি নহে। আমি কাউকে ওয়ারিশান দেইনি।


আজমিরীগঞ্জ সদর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান মোবারুল হোসেন বলেন, আমার জানা মতে সংকর কুমার রায় রনেন্দ্র কুমার রায়ের ওয়ারিশ। আমি বারংবার ওয়ারিশ সনদ দিয়েছি ।


এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের একটি অনুসন্ধান টিম অনুসন্ধান করেন। অনুসন্ধানে, প্রবীণ মুরুব্বী পঞ্চাত প্রদান সহ এলাকার মন্য-গন্য ব্যাক্তি, চেয়ারম্যান, মেম্বারদের সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং কথা বলেন।


প্রবিন মুরুব্বী মেম্বার আলাউদ্দিন সাহেব বলেন, চন্ডী রায় আমার পাশের বাড়ির মানুষ, ছোট বেলা থেকেই আমাদের কাছে বড় হয়েছে। চন্ডী রায় আমার জানামতে মামলাবাজ লোক, মামলার কাগজপত্র ছাড়া কোন কাগজপত্র দেখাতে পারবে না। রণেন্দ্র কুমার রাযের কোন প্রকার আত্মীয় ও ওয়ারিশ নহে অনেকগুলি পত্যায়ন আছে। আজমিরিগঞ্জ উপজেলার বাহিরে শাল্লা দিরাই উপজেলা ও অন্যান্য এলাকায় জালিয়াতি করে থাকেন ,চন্ডি রায় । তার সাথে ভূমি দস্যু শাল্লায় দুই একজন আছে ।


প্রবীণ রাজনীতিবিদ ইমান আলী সাহেব বলেন। চন্ডী রায় জালিয়াতি করে  আমার আজমিরিগঞ্জ উপজেলার বাহিরে শাল্লায় দুইজন ভূমি দস্যু  আছে বিভিন্ন ওয়ারিশ  জাল করে, বিভিন্নজনর জাল ওয়ারিশ সার্টিফিকেট দিয়ে সম্পত্তি রেকর্ড করে পরে সম্পত্তি বিক্রয় করে তার প্রমাণ সংরক্ষিত আছে ।


প্রবিন মুরুব্বী হাসান আলী সাহেব  বললেন, আমার বয়স ৯৫। তখন থেকেই আমি দেখতেছি শুনেছি এবং আমার জানা মতে জলসুকা ইউনিয়নে রনেন্দ্র কুমার রায়ের কোন ওয়ারিশ নাই, শুনেছে তার এক আত্মীয় আছে ,আজমিরগঞ্জ সদর ইউনিয়নে বিরাট গ্রামের শংকর কুমার রায় ।

আমার জানা মতে রাম বলল হালদারের সম্পত্তি জালিয়াতি করে নিয়েছে চন্দ্রপ্রসাদ রায় ।

আজমিরীগঞ্জ উপজেলার বদলপুর ইউনিয়নে বদলপুর মৌজা এসে এ খতিয়ান ৩৯৩ নামজারি খতিয়ান ৩৯৩/১ নামজারি মুকাদ্দমা  নং (৮৭/১১) এই হল


এলাকার আব্দুল কাইয়ুম বলেন, আমার জানা মতে জালিয়াতি সম্পর্কের আজমিরিগঞ্জ উপজেলায় ঘরে ঘরে গিয়ে জিজ্ঞাস করিলে আপনারা বুঝতে পারবেন চন্ডী রায় এবং শাল্লায়, ইছাক মিয়া ও তরুণ কান্তি দাস বর্তমান চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ সরকার নান্টু।। চন্ডী রায় বিভিন্ন জমিদারের ওয়ারিশ সেজে এক এক সময় এক এক নাম দিয়ে সম্পত্তি বিক্রয় করেন আমার জানামতে  ২০২২ জালিয়াতি করার সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে   জলসুকা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান একটি প্রত্যয়ন পত্র দেন ।যাহার স্মারক নং ৪৫/২০২২ইং তাং।

চন্ডিরায়ের কোন ওয়ারিশ কিংবা আত্মীয় নহে রনেন্দ্র কুমার রায় নেপাল রায় বলেন, ১৩ ঘর জমিদারের মধ্যে আমার বাবা একজন জমিদার। আমার জানামতে চন্দ্র প্রসাদ রনেন্দ্র কুমার রায়ের আত্নীয় কিংবা ওয়ারিশ নহে । তৎকালীন শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) (অ.দা:) মো: আবু তালেবের ব্যক্তিগত নাম্বারে একাধিক বার ফোন দিলে নাম্বার বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।


শাল্লার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিয়াস চন্দ্র দাস জানান, বিষয়টি তদন্ত চলছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Tags: