মোঃ আশিকুর রহমান, স্টাফ রিপোর্টার :
আজমিরীগঞ্জে জমি সংক্রান্ত পুর্ব বিরোধের জেরে সংঘর্ষে জাকির হোসেন (৩৮) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে।
সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে বলেও জানা গেছে ।গুরুতর আহত অবস্থায় তজিমুল মিয়া (৫৫), রুবেল মিয়া (২৭) এবং উজ্জল মিয়া (৩০) হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স দায়িত্ব চিকিৎসক।
রবিবার (১৫ জুন) সন্ধ্যা আনুমানিক ছয়টায় উপজেলার বদলপুর ইউনিয়নের পিরোজপুর গ্রামের পয়েন্টে এই সংঘর্ষের ঘঠণা ঘটে। নিহত জাকির হোসেন পিরোজপুর গ্রামের পল্লী চিকিৎসক হারুনুর রশিদের পুত্র। পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে জমি নিয়ে পিরোজপুর গ্রামের গনি মিয়া গংদের সাথে শাজাহান মিয়া গংদের বিরোধ চলে আসছিলো।
রবিবার সন্ধ্যায় পিরোজপুর গ্রামের পয়েন্টে এই জমির বিষয়টি নিয়ে গনি মিয়ার পুত্র হোসাইন মিয়ার সাথে শাজাহান মিয়ার পুত্র মহসিন মিয়ার বাক বিতন্ডা শুরু হয়। বাক বিতন্ডার একপর্যায়ে দুই পক্ষের লোকজন জড়ো হলে তাদের মধ্যে সংর্ঘের সুত্রপাত হয় ।
এময় পয়েন্টে নিজের দোকানে থাকা হারুনুর রশিদ বের হয়ে তাদের সংঘর্ষ না করে যার যার বাড়িতে ফিরে যেতে বললে শাজাহান মিয়ার পুত্র মহসিন মিয়া সহ তাদের লোকজন হারুনুর রশিদকে অপদস্ত করেন। তখন হারুনুর রশিদের পুত্র জাকির হোসেন দোকান থেকে বের হয়ে আসলে তার উপরও চড়াও হয় তারা। বিষয়টি জানার পর উভয়পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ বাধেঁ । সংঘর্ষের একপর্যায়ে প্রতিপক্ষের লোকজনের আঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন জাকির। স্বজনরা স্থানীয়দের সহযোগীতায় তাৎক্ষনিক জাকিরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ময়না মিয়া জানান, জমি নিয়ে শাজাহান মিয়া ও নানু মিয়ার মধ্যে বিরোধ চলে আসছিলো। এরই জেরে শনিবার সন্ধ্যায় পিরোজপুর পয়েন্টে শাজাহান মিয়ার ছেলে মহসিনের সাথে নানু মিয়ার পুত্র হোসাইন মিয়ার ঝামেলা বাঁধে। এসময় হারুনুর রশিদ তাদের এখান থেকে সরে অন্যত্র যেতে বললে শাজাহান মিয়ার লোকজন হারুনুর রশিদ ও তার পুত্র জাকিরকে মারধোর করে৷ এই নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.শফিকুল ইসলাম জাকির হোসেনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন , সন্ধ্যায় বাক বিতন্ডার জেরে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সুত্রপাত হয়।
