বিজ্ঞপ্তিতে দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে তিনি অতীতের ন্যায় সংগঠনকে আরও গতিশীল ও সুসংগঠিত করতে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করবেন।
দীর্ঘ রাজনৈতিক পথচলায় মুরাদ আহমদ ছাত্রজীবন থেকেই জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত। ৯০" এর দশকে যখন জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ কারাবন্দি ছিলেন, তখন রাজপথে তার মুক্তির দাবিতে আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন সাংবাদিক মুরাদ আহমদ। সে সময় থেকেই তিনি ধারাবাহিকভাবে দলের বিভিন্ন স্তরে সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
ছাত্র রাজনীতির শুরুতেই জাতীয় ছাত্র সমাজের নবীগঞ্জ উপজেলা শাখার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, জাতীয় যুব সংহতির নবীগঞ্জ উপজেলা সভাপতি, নবীগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, নবীগঞ্জ পৌর জাতীয় পার্টির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন পদে থেকে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে অন। বর্তমানে হবিগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব ও সর্বশেষ জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে কার্যকর ভূমিকা রেখেছেন। রাজনীতির পাশাপাশি সাংবাদিকতায় মুরাদ আহমদ একজন পরিচিত মুখ। তিনি বর্তমানে দৈনিক বিজয়ের প্রতিধ্বনি পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। এছাড়া দেশের বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকায় তিনি দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সঙ্গে পেশাগত দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এবং বাংলাদেশ গণপ্রজাতন্ত্রী সরকারের অনুমোদিত লাইসেন্স প্রাপ্ত দলিল লিখক হিসেবে নবীগঞ্জ উপজেলা দলিল লিখক সমিতির সদস্য বটে।
ব্যক্তিগত ও পারিবারিক পরিচিতে মুরাদ আহমদ হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের উত্তর দৌলতপুর গ্রামের এক শিক্ষিত ও সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম মুহাম্মদ ইমতিয়াজ মাস্টার একজন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ছিলেন এবং একজন সমাজকর্মী হিসাবে বিভিন্ন ভূমিকা রাখেন। তার বড় ভাই মুরশেদ আহমদ আউশকান্দি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হিসেবে ও নবীগঞ্জ উপজেলা দলিল লিখক সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন এবং উপজেলা বিএনপির রাজনীতির সাথে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত রয়েছেন।
এছাড়াও মুরাদ আহমদ বৃহত্তর সিলেটের কৃতিসন্তান, সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়াত উপাচার্য অধ্যাপক হাবিবুর রহমান ও বাউসা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ারুর রহমানের ভাগিনা।
কৃতজ্ঞতা ও প্রত্যাশায় সাংবাদিক মুরাদ আহমদ জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক পদ লাভ করায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান পল্লীমাতা বেগম রওশন এরশাদ ও জাতীয় পার্টির মহাসচিব কাজী মোঃ মামুনুর রশিদসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। একইসাথে তিনি তাঁর ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে নেতাকর্মীদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।