ঢাকা

টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে মোংলা পৌরশহর

কুশিয়ারা বার্তা

প্রকাশিতঃ

Shares


 

উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত লঘুচাপের প্রভাবে বুধবার (২৮ জুলাই) সকালে  মোংলা সমুদ্র বন্দরে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। লঘুচাপের প্রভাবে গত কয়েকদিন ধরে মোংলাসহ সংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছে। মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) দুপুর থেকেই টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে মোংলা পৌরশহর ও উপজেলার ছয় ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, চিংড়িঘের। এছাড়াও বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় খুলনা-মোংলা মহাসড়কের মোংলা বন্দরের প্রবেশমূখ তলিয়ে গেছে। বন্দরের জেটি এলাকায় এক ফুট পর্যন্ত পানি জমে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। মুষলধারার এ বৃষ্টিতে পৌর শহরের বিভিন্ন নিচু এলাকার রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতায় এরকম বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে পৌর শহরের ট্রেডার্স মসজিদ রোড, মুসলিম পাড়া, বালুরমাঠ,মিয়াপাড়া, মুন্সীপাড়া, জয়বাংলা, কুমারখালী, মাকড়ঢোন, কেওড়াতলা, ইসলামপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায়। বৃষ্টিতে পানি নিষ্কাশনের খাল ও ড্রেনও তলিয়ে গেছে। মোংলা পোর্ট পৌরসভার মেয়র শেখ আব্দুর রহমান জানান, টানা বৃষ্টিতে পৌরসভার অনেক এলাকাতেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। পৌরসভার পক্ষ থেকে জলাবদ্ধতা নিরসনে আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি। উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, অতিবৃষ্টিতে এখানকার প্রায় সাড়ে ৪০০ চিংড়ি ঘের তলিয়ে গেছে। ভেসে গেছে ঘেরের বাগদা চিংড়ি ও সাদা মাছ। এতে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছে স্থানীয় চিংড়ি চাষিরা। দীর্ঘ সময় ধরে বৃষ্টি হলে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান তিনি। 


এদিকে, বেশি ক্ষতি হয়েছে চিলা, জয়মনি ও কামারডাঙ্গা এলাকার ঘেরগুলোতে।

 

তবে বৃষ্টিপাতে মোংলা বন্দরে অবস্থানরত বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্যবোঝাই-খালাস কাজ সাময়িক কিছুটা বিঘ্নিত হলেও পরবর্তী সময়ে তা স্বাভাবিক গতিতেই চলছে বলে জানিয়েছেন বন্দরের হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফখর উদ্দিন।

Tags: