বিশেষ প্রতিনিধিঃ
হবিগঞ্জের
নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সঞ্জিত সেনের বিরুদ্ধে
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে গত ১৯/১০/২০২০ইংরেজি তারিখে স্মারক লিপি
প্রদান করেছেন গভর্ণিং বডির অভিভাবক প্রতিনিধি ও প্রতিষ্টাতা সদস্য। স্মারক
লিপিতে তারা উল্লেখ করেন বিগত ১১/১১/২০১৭ ইং ইনাতগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের
গভর্ণিং বডির নির্বাচন অনুষ্টিত হয় এবং আমরা সরাসরী অভিভাবকদের ভুটে
নির্বাচিত হই। জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের ঐ সময়ের প্রজ্ঞাপন অনুসারে আমরা
নির্বাচন করি। যাহা গভর্ণিং বডির মেয়াদকাল ছিল চার বছর। নির্বাচন অনুষ্টিত
হওয়ার পর আমাদের কমিটির অনুমোদন হয় ১১ জানুয়ারী ২০১৮ ইং তদনুসারে আমাদের
কমিটির মেয়াদকাল শেষ হওয়ার কথা ১০ জানুয়ারী ২০২২ ইং। আমাদের গভর্ণিং বডির
প্রথম সভায় অধ্যক্ষ মহোদয় বলেন যে কমিটির মেয়াদ ২ বছর জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়
থেকে অনুমোদন হয়ে আসছে। আমরা তখন উনাকে বলি আমরাতো জানি আমাদের কমিটির
মেয়াদকাল হবে ৪ বছর তাহলে ২ বছর অনুমোদন হবে কেন? তিনি আমাদেরকে উত্তরে
বলেন ২ বছর পূর্ণ হওয়ার পর আমরা আবার কমিটি নবায়নের জন্য জাতীয়
বিশ^বিদ্যালয়ে পাঠাবো। পরিতাপের বিষয় আমাদের কমিটির মেয়াদ ২ বছর পূর্ণ
হওয়ার কিছুদিন আগেই অধ্যক্ষ মহোদয় ঘোষণা দেন আমাদের কমিটির মেয়াদ শেষ এবং
নতুন কমিটি গঠনের লক্ষ্যে নির্বাচন দিতে হবে। আমরা প্রতিবাদ করি এবং বলি
আমাদের মেয়াদকাল হলো ৪ বছর এখন আপনি কিসের নির্বাচন দিবেন। যদি জাতীয়
বিশ^বিদ্যালয় কতৃক কোনো প্রজ্ঞাপন থাকে তাহলে আমাদের অবহিত করেন অথবা আপনি
আমাদের কমিটি নবায়নের জন্য জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ে পাঠান। তিনি এসব কথায় কান
না দিয়ে মনগড়াভাবে নির্বাচনের তফশীল ঘোষণা করেন এবং বিগত ১৫/১২/২০১৯ ইং
তারিখে নির্বাচন অনুষ্টিত হয়। ঐ সময়ে আমাদের ছেলে মেয়ে কলেজে না থাকায় আমরা
২ জন অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারি নাই। আমাদেরকে কমিটি
থেকে বাদ দেওয়ার জন্য এটাই ছিল উনার চালাকি। উল্লেখ করার প্রয়োজন আমদের
গভর্ণিং বডির বিভিন্ন মিটিংয়ে অধ্যক্ষ মহোদয়ের ¯ে^চ্ছাচারিতা এবং অসদাচরণ
আমাদেরকে হতবাক এবং বিমর্ষ করে। দুই একটা মিটিংয়ে অধ্যক্ষ মহোদয় অর্থ
কেলেংকারীতে ধরা পড়ায় তুমুল বাক্য বিনিময় হয় এবং এক পর্যায়ে উনি আমাদেরকে
দেখে নিবেন বলে হুমকিও দেন।
কলেজের সম্পূর্ণ আয়ন ব্যয়নের কাজ এবং হিসাব তিনি একাই করবেন, এগুলো নিয়ে নাকি আমাদের মাথা ঘামাতে হবে না। কলেজের ছাত্র ছাত্রী ভর্তির সময়ে উনার পছন্দের দুই তিন জন শিক্ষক নিয়ে ভর্তি বাণিজ্য আমাদের বিভিন্ন সময়ে অভিভাবকদের কাছে লজ্জিত করে। প্রায় বছর খানেক আগে কলেজের স্টাফ কাউন্সিল এবং মিটিংয়ে ঘোষ কেলেংকারীর জন্য তিনি লাঞ্চিত হন। এমনকি শিক্ষকরা তাকে মারধর করার জন্য তেড়ে আসেন। এহেন অবস্থায় কলেজের চেইন অব কমান্ড সম্পূর্ণভাবে ভেঙ্গে পড়েছে। যাহা অবশ্যই কোন কলেজের জন্য দূর্ভাগ্যজনক।
কলেজের সম্মানিত প্রতিষ্টাতা,দাতা অথবা অভিভাবক কোনো কারণে কলেজে উপস্থিত হলে তিনি উনাদের যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করতে রাজি নন। যে কারণে দাতা প্রতিষ্টাতাদের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে।এমনকি কলেজে অভিভাবক সমাবেশ করতেও তিনি নারাজ। প্রায় ১২০০ ছাত্র ছাত্রী উক্ত কলেজে পড়ালেখা করলেও পরীক্ষায় কোনো ভালো ফলাফল নাই। ছাত্র ছাত্রীদের বিস্তর অভিযোগ আমাদেরকে মর্মাহত করে।
এমতাবস্থায় ¯ে^চ্ছাচারিতার মাধ্যমে বিগত ০৯/১০ মাস যাবত নতুন নির্বাচিতদেরকে এবং আমাদেরকে কোনো কিছ’ না জানিয়ে কলেজের যাবতীয় কর্মকান্ড তিনি নিজে একাই পরিচালনা করিতেছেন। আমরা উনার এই আচরণে শংকিত এবং এলাকার লোকজনের মধ্যেও নানাবিদ প্রশ্নের জন্ম নিয়েছে। এহেন অবস্থায় উল্লেখিত ডিগ্রি কলেজটি ধ্বংশের মুখে পতিত।
